• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মানিকগঞ্জে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ মার্চ ২০২২  

মানিকগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এক পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছে মোসাম্মত হাসনা বেগম নামের এক গৃহবধূ। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দর এলাকার আরশেদ আলীর (৪৫) স্ত্রী।

জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে করা মারামারির মামলার অভিযোগ দেখিয়ে গেল দশদিন (৯ মার্চ) আগে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হাসনা বেগমের স্বামী আরশেদ আলী ও তার ভাসুর কুরজত আলীকে (৫৫)। তাঁদের আটকের পর পুনরায় আবার জমি দখলে নেয়ার পাঁয়তারা শুরু করে মরিয়ম আক্তার গং।

মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) সকালে জমিতে দেয়াল তোলার কাজ শুরু হলে ভূক্তভোগী পরিবারের নারী সদস্যরা বাধা দেয়। তখন ভয়-ভীতি প্রদর্শন ও নারী সদস্যদের ওপর হামলা করেন মরিয়ম গং। এ ঘটনায় জীবনের নিশ্চয়তা ও সুষ্ঠু বিচার চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই ভুক্তভোগী নারী।

ভুক্তভোগী পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বামীর পৈতৃক বসত বাড়ি দিঘি মৌজার সি.এস ও এস.এ ৫৯০ এবং আর.এস ৭১২ দাগের ১ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে প্রতিবেশি মরিয়ম আক্তার ও তার স্বামী মহর আলীর সাথে। ক্রয় সূত্রে তারা ১০ শতাংশ জমির মালিক হলেও ১ শতাংশ জমি বেশি দখলে নিতে রাতের আধারে সরিয়ে ফেলেছে সীমানা পিলার। জোড় পূর্বক দেওয়াল নির্মানে বাঁধা দেওয়ায় দখলদারদের মামলা ও হামলায়- প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা।

অভিযোগপত্র সূত্রে জানা যায়, জমি দখলে নিতে পরিকল্পিতভাবে দখলদার মরিয়ম তার ভাই মোশারফ হোসেন লিটনের ( মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল আদালতের স্টেনো হিসেবে কর্মরত ) প্রভাবে চলতি মাসের ৮মার্চ সন্ধ্যায় মানিকগঞ্জ সদর থানায় মারামারির মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে তাঁর স্বামীসহ পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। মামলার সত্যতা নিশ্চিত না করেই ঐ রাতে ২ জনকে আটক করা হয়।

ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগে অভিযুক্ত মরিয়ম আক্তার অভিযোগটি বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মন্তব্য করে বলেন, আমরা ১০ শতাংশ জমি ক্রয় করেছি, সেই ১০ শতাংশ জায়গাতে তাঁরা দখল করতে মরিয়া।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল ) ভাস্কর সাহা বলেন, লিখিত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত চলছে। আগের ও বর্তমান পক্ষের অভিযোগ দুটি তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে কারা এখানে অপরাধী। প্রচলিত আইনে আগের পক্ষের মামলা যদি মিথ্যা প্রমাণিত হয় তাহলে মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করা হবে ও সত্য প্রমানণিত হলে চার্জশীট দেওয়া হবে৷ আমরা একই সাথে ২ পক্ষের অভিযোগ তদন্ত করে দেখবো, কারা আসলে অপরাধী।