• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মানিকগঞ্জের আন্ধারমানিক-বেউথা সড়কে সীমাহীন ভোগান্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২  

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় মানিকগঞ্জ পৌরসভার আন্ধারমানিক-বেউথা সড়কে চলাচলকারীদের সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে।
সড়কের অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরা। শীত-বসন্তে ধুলা আর বর্ষাকালে কাদা পানিতে সয়লাব থাকে।

এলাকাবাসী ও চলাচলকরী যানবাহনের চালকেরা জানান, হেমায়েতপুর-সিংগাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক হয়ে বেউথা দিয়ে পাটুরিয়া যেতে দূরপাল্লার বাস, মালবাহী ট্রাক ও লড়ি চালকেরা এ সড়কটি ব্যবহার করেন। বালু ব্যবসায়ীদের মাটি আর বালুর ট্রাকের কারণেও সড়কে খানাখান্দের সৃষ্টি হয়েছে।

এ সড়ক দিয়ে হরিরামপুর উপজেলা ও শিবালয় উপজেলার আরোয়া ও শিমুলিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ জেলা শহরে যাতায়াত করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বেউথা সেতুর তিন রাস্তা মোড় থেকে আন্ধারমানিক তিন রাস্তা মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার সড়কের বেশিরভাগ জায়গায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। সড়কটির কয়েক জায়গায় ধুলার কারণে কুয়াশার মতো অন্ধকার দেখায়। সড়কের আশপাশের বাড়ি এবং গাছপালার উপরে ধুলার আস্তর পড়ে আছে।

এ সড়কে চলাচলকারী জননী কুরিয়ার সার্ভিসের চালক হানিফ মিয়া বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে সড়কটি বেহাল। যানযট এড়িয়ে সিংগাইর-হেমায়েতপুর সড়ক দিয়ে ঢাকা যেতে সড়কটি ব্যবহার করি। দ্রুত সড়কটি সংস্কারের দাবি জানাই।”

আন্ধারমানিক তিন রাস্তা মোড় এলাকার সাহেরা বেগম (৬০) বলেন, “এ পথে হাঁটতে গেলেও ধুলায় শ্বাসকষ্ট হয়। গাছপালা ও ঘরবাড়িতে ধুলার আস্তর পড়ে গেছে। গাড়ি কাইত হইয়া উল্টাইয়া যায়।”
আন্ধারমানিক গ্রামের গৃহবধূ সেফালী বেগম (৪০) বলেন, “ঘরের ভিতরেও ধুলার আস্তর পড়ে গেছে। ঘরের খাবার, জামাকাপড় ধুলার কারণে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যায়। রাস্তাটি সংস্কার না করলে বাড়িতে থাকাই দুষ্কর হয়ে যাবে।”

মুদি দোকানদার লাল মিয়া (৬০) বলেন, “বাড়ির সাথে মুদি দোকান করি। দোকানের মালামাল ধুলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।  আর ভাঙা রাস্তায় বর্ষার সময় কত গাড়ি উল্টে গেল। এখন ধুলা আর বর্ষায় কাদার কারণে এ রাস্তায় চলাচল করা যায় না।”

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের বিক্রয় প্রতিনিধি জিয়াউল হক বলেন, “মোটরসাইকেল চালিয়ে এ সড়ক দিয়ে নিয়মিত চলাচল করি। এত বাজে সড়ক কমই আছে। সড়কটি সংস্কার করা হোক।”

অটোরিকশা চালক রাজ্জাক মিয়া বলেন, “ঝিটকা হরিরামপুর মোড় থেকে এ সড়ক দিয়ে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে চলাচল করি। ভাঙা সড়কে চলাচল করতে গিয়ে কয়েকবার ইঞ্জিন নষ্ট হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।”
মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু নাহিদ, হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে সড়কটি সংস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। ৩৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে।