• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জলাধার থেকে ভাগাড়

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২২  

একসময় মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পানীয়জলের চাহিদা মিটত এই পুকুর থেকে। পানি পাম্প করে তোলা হতো দক্ষিণ পাশে সিমেন্টে তৈরি একটি বিশাল ট্যাংকে। ট্যাংকের গায়ে স্থাপিত ট্যাপের মাধ্যমে পানি সংগ্রহ করত শহরবাসী। সেই পুকুর কালের পরিক্রমায় এখন ভাগার হয়ে উঠেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রিটিশ আমলে শহরবাসীর পানীয়জলের চাহিদা মেটাতে পুকুরটি খনন করা হয়। পাকিস্তান আমল, এমনকি বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও এই পুকুরের পানি রান্নার কাজে এবং ফুটিয়ে খাওয়ার পানি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। পুকুরে নামা ছিল নিষেধ। চারদিকে ছিল কাঁটাতারের বেড়া। সতর্ক করে দেওয়ার জন্য চারদিকে ছিল সাইনবোর্ড। মূলত এ কারণে পুকুরটির পরিচয় বা নাম হয়ে ওঠে রিজার্ভ ট্যাংক হিসেবে। পরবর্তী সময়ে বাড়ি বাড়ি টিউবওয়েল স্থাপন এবং শহরে পাইপের মাধ্যমে পানি সরবরাহ বাড়তে থাকলে পুকুরের গুরুত্ব হারাতে বসে। ধীরে ধীরে কাঁটাতারের বেড়াগুলো উধাও হয়। পানির ট্যাংকটির জায়গা দখল হয়ে যায়। বর্তমানে ট্যাংকটির কোনো অস্তিত্ব নেই।

পানীয়জলের আধার হিসেবে গুরুত্ব হারালেও একসময় পুকুরের টলটলে পানিতে শহরের প্রচুর মানুষ গোসল করত। সুবিধার জন্য জেলা পরিষদ ও পৌরসভা থেকে দুটি ঘাট নির্মাণ করা হয়। জেলা পরিষদ থেকে এক দফা খননও করা হয়। এসব ছোটখাটো উন্নয়ন হয় প্রায় ২০ বছর আগে, কিন্তু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষার কাজটি কেউ করেনি। ফলে পুকুরের চারপাশে ফেলা হয়েছে বাড়িঘর-দোকানপাটের আবর্জনা, নির্মাণসামগ্রী।