• শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অনুমোদনহীন অটোরিকশায় বাড়ছে দুর্ঘটনা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২২  

মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলা ১১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। ভোটার ৩ লক্ষাধিক। এ উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে হেমায়েতপুর থেকে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত আঞ্চলিক মহাসড়ক। যা গ্যান্টট্যাংক রোড নামে পরিচিত। এ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ অত্র এলাকার শাখা সড়কগুলোতে দাবিয়ে বেড়াচ্ছে কাগজপত্র ও অনুমোদনহীন ব্যাটারি চালিত হ্যালোবাইক ও অটোগুলো। অদক্ষ চালক দ্বারা চালিত এসব যানবাহন হরহামেশাই উপজেলা শহরসহ প্রতন্ত অঞ্চলে ছুটে বেড়ায়। এ সকল যানবাহন উপজেলা চত্ত্বর ও তার আশপাশ পৌর এলাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অলি-গলি ও রাস্তার মাঝখানে চালকদের ইচ্ছে মতো থামিয়ে যাত্রী উঠা-নামা করছে। পৌরসভা বা কোন ইউনিয়ন পরিষদ অথবা বিআরটি’এর অনুমোদন ছাড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এ ব্যবসা। নেই কোন বৈধ কাগজপত্র, নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্সের বালাই। এ সব কানুনকে ‘থোরাই কেয়ার’ করে চলছে তারা। আর এতে করে প্রতিনিয়ই গঠছে দুর্ঘটনা, মারাও যাচ্ছে অনেকে।

সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এ উপজেলায় প্রায় ৫/৭ হাজার হ্যালোবাইক/ অটোরিকশা রয়েছে। আর এসকল যানবাহন শুধুই যে, যাত্রী পরিবহন করছে তা নয়। এদেরকে ভারি মালামালও পরিবহন করতে দেখা যায় প্রতিনিয়ত। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এক হ্যালো বাইক চালক বলেন, আমাদের কোন রোড পারমিট বা লাইসেন্স লাগে না। শুধু গাড়িটি কিনে যে কোন লাইনে ভর্তি হলেই আর কোন ঝামেলা নাই। লাইনম্যানরাই আমাদের দেখাশুনা করেন। আমাদের সর্ব ধরনের সমস্যাই তারা দেখেন। একাধিক সবজি ব্যবসায়ী জানান, আগে আমরা মিটি ট্রাক বা ভ্যান গাড়িতে সবজি পরিবহন করতাম। এখন আমরা অটো বা হ্যালো বাইকেই সবজি পরিবহন করছি। এতে খরচ একটু কম হয়।

এলাকার সচেতন মানুষের দাবি কাগজপত্র ও অনুমোদন বিহীন এ সকল যানবাহন অনতি বিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত ওসি তদন্ত শেখ মোঃ আবু হানিফ বলেন, মাঝে মধ্যেই এ সকল যানবাহন আমরা থানায় নিয়ে আসি, স্থানীয় লোকজনদের সুপারিশে হাইওয়ে রোডে না চালানোর শর্তে ছেড়ে দেই।