• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘আমার আসন ছেড়ে দিচ্ছি ওখানেই নির্বাচন করো’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

গণভবন এখন যেন আওয়ামী লীগ তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিচরণক্ষেত্র। হঠাৎ করেই যে কেউই গণভবন পা রাখলেই সেখানে জনসভা কিংবা কোনো অনুষ্ঠান হচ্ছে কিনা তা নিয়ে দ্বিধায় পড়ে যাবেন। কিন্তু কোনো জনসভা কিংবা অনুষ্ঠান নয়, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যারা এবার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কিন্তু মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন, এমন অনেকেই ভিড় করেছেন গণভবনে। তাদের পদচারণায় মুখরিত এখন গণভবন।

মনোনয়ন না পেয়ে অনেকেই আশাহত হলেও তাদের চাওয়া এখন একটাই, শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। এদিকে, শেখ হাসিনাও নিরাশ করছেন না তাদেরকে। বরং শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি সময় দিচ্ছেন সকল মনোনয়ন বঞ্চিতদের। একটু পর পরই নেমে আসছেন তিনি, সেই সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়সহ তাদের সকল বক্তব্য শুনছেন। মনোনয়ন বঞ্চিতদের সব কথা শোনার পর, আওয়ামী লীগ সভাপতি তাদের বলেন, ‘তোমাদের যদি এতই নির্বাচন করার শখ থাকে, তবে আমার আসনটিই ছেড়ে দিচ্ছি। আমার আসনেই নির্বাচন করো তোমরা।’

মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে দু’ধরনের নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন গণভবনে। একপক্ষ হচ্ছে আওয়ামী লীগের অনেক ত্যাগী, পরিশ্রমী ও পরীক্ষিত নেতা, যারা আশা করেছিলেন মনোনয়ন পাবেন এবার। এদের মধ্যে অনেকেই বর্তমান এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগের ডালা নিয়ে এসেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও ধৈর্য্যের সঙ্গে তাদের সকল অভিযোগ শোনেন।

এরপর প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে বলেন, এখন অভিযোগের সময় না। সময় এখন ঐক্যবদ্ধ ভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার। যদি আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ না থাকি, তবে তা দলের জন্যই বিপজ্জনক হবে।

গণভবনে ভিড় করা আরেকটি পক্ষ হচ্ছেন, যারা ২০০৮ কিংবা ২০১৪-তে এমপি ছিলেন কিন্তু কোনো কারণে এবার মনোনয়ন শঙ্কায় আছেন তারা। হয়তো জনমতের জরিপে পিছিয়ে থাকা কিংবা শরিকদের আসন ছেড়ে দেওয়ার জন্যই মনোনয়ন পাচ্ছেন না তারা। গত ৫ বছরে কিংবা ১০ বছরে এমপি থাকাকালীন নিজ নিজ এলাকাতে জনসাধারণের জন্য তারা কি কি কাজ করেছেন তার ফিরিস্তি তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রীর সামনে।

শেষমেশ সকলকেই তিনি শুধু একটিই পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘এখন কোন অভিমান, অভিযোগ কিংবা পাল্টা অভিযোগের সময় নয়। কোন ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি এবার। প্রতীক একটাই, আর তা হচ্ছে নৌকা। তোমারা যদি আওয়ামী লীগের সত্যিকারের সমর্থক হও, যদি মন থেকেই দলকে ভালোবাসো, তবে সবাই নিজ নিজ এলাকাতে ফিরে যাও। ফিরে নৌকার জন্য কাজ করো। এরপরও যদি তোমাদের নির্বাচন করার খুব শখ থাকে, তাহলে আমি আমার আসনটি, গোপালগঞ্জ-৩ আসনটি ছেড়ে দিচ্ছি। তোমারা ওখানে যেয়ে নির্বাচন করো।’