• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

তারেকের সঙ্গে কনফারেন্সেকারীদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার দাবি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

তারেক রহমান যে সকল মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলেছেন নির্বাচনে তাদের অযোগ্য ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন বিচারপতি (অব.) এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

তিনি বলেন, খুনের দায়ে সাজা হয়েছে তারেকের, শুধু খুনের সাজা হয়েছে তা নয়, দুর্নীতির জন্যও তার সাজা হয়েছে দুটি মামলায়। দুটি অপরাধে সে এখন পলাতক। সে ব্যক্তি যখন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে তখন এর চেয়ে হতাশাজনক আর কিছু হতে পারে না।নির্বাচন কমিশন আপনারা দয়া করে দেখুন আপনাদের কী করার আছে?

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাব কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘তারেক রহমানের ইন্টারভিউ; নৈতিক ও আইনি অবস্থান’ শীর্ষক ‘আমাদের মতামত’ শিরোনামে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, লন্ডনের কিংসটাউন এলাকায় তারেক রহমান থাকেন অত্যন্ত দামি এলাকায় ওটা এবং যে বাড়িতে থাকেন এটা ঠিক বাড়ি বলা যাবে না। মনে হবে যে রানি এলিজাবেথের কোনো আত্মীয়র বাড়ি। পুরোপুরি রাজপ্রাসাদ। যেখানে কাজের লোক আছে ১৫ জন। রাজকীয় ব্যাপার। কিন্তু তাদের এ আয়ের উৎস কী? তাদের তো আর আয়ের পথ নেই। কারণ তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী দুজনই বেকার।

ড. কামাল হোসেনের প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, এ কামাল সাহেবের অতীত কী? আমার কাছে দুটি বই আছে একটি লিখেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর নাসির উদ্দিন। আরেকজন পাকিস্তানের এক জেনারেল। সেখানে তিনি লিখেছেন, সেসময় ২৮ তারিখে কামালের অনুরোধে তাকে নিরাপদ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরের দিন ২৯ তারিখে কার্গো বিমানে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছিল, এই হলো তার অতীত পরিচয়।

নাসির উদ্দিন লিখেছেন, ২৫ মার্চের আগে শ্রীমঙ্গলে একটি সভায় তৎকালীন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেলসহ আরেকজন মেজর জেনারেল ছিলেন। এই দুজনই ভিআইপি লাউঞ্জে ছিলেন, সেখানে কামাল সাহেবও ছিলেন। যেখানে ২৫ মার্চ কীভাবে অপারেশন সার্চলাইট হবে সেই পরিকল্পনার মিটিং হয়েছিল। ফরাসউদ্দিন সাহেব যিনি বঙ্গবন্ধুর অতি ঘনিষ্ঠজন ছিলেন উনি বলেছেন, কামাল হোসেন বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার ভূমিকায় ছিলেন।

শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, তখন তার যে ভূমিকা ছিল সেটা আজ স্পষ্ট। কারণ উনি সেই দলের সঙ্গে আঁতাত করেছেন যে দলের নেতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার নকশায় ছিলেন বলে আপনারা শুনেছেন। আর জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক রহমান শেখ হাসিনার হত্যার জন্য গ্রেনেড হামলা চালিয়েছেন। সেই দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন আজ আঁতাত করেছে। তাহলে তিনি যে আসলে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধ ছিলেন সেটা মোটেও খারাপ উক্তি হবে না। এটা একটা খাঁটি উক্তি। তার পুরো জীবনটাই কিন্তু রহস্যময় জীবন। আজ তিনি খুনিদের সঙ্গে জোট করেছেন। তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আবার তারেক রহমানও নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ রাজনীতি নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন বলছে তাদের কিছুই করার নেই। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে ইসির দায়িত্ব তত বাড়ছে। তাই তাদের কী করার আছে, কী করার নেই, এসব বিষয়ে ইসিকে আরও সজাগ থাকতে হবে। নিরপেক্ষ নির্বাচন দেয়ার জন্য। নির্বাচন কমিশনার মাহমুদ তালুকদার একটি আর্টিকেল লিখে পক্ষপাতদুষ্ট হয়েছেন। মাহবুব তালুকদার যে কমিশনে থাকবেন সেই কমিশন দ্বারা নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না তাকে অপসারণ করা জাতির স্বার্থে অপরিহার্য।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান, সম্প্রীতি বাংলাদেশের সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব, নর্দান ইউনিভাসিটির উপদেষ্টা শেখ মঞ্জুর মোর্শেদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান, সাবেক ছাত্রনেতা কবীর চৌধুরী তন্ময় প্রমুখ।