• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন নিয়েও বিএনপির বাণিজ্য!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: দলের ভঙ্গুর পরিস্থিতি বিবেচনা ও নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না পাওয়ার শঙ্কায় এবার উপজেলা নির্বাচনেও দলীয় যোগ্য প্রার্থীদের মনোনীত না করে বাণিজ্যের লক্ষ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন দেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। যা নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল বিএনপি। যা নিয়ে চরম অসন্তোষও দেখা দিয়েছে।

সূত্র বলছে, উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে দলটির কিছু অসাধু নেতা উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মীদের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দলের সমর্থন দিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে চাইছে। আর এর সঙ্গে জড়িত আছেন কিছু সংখ্যক কেন্দ্রীয় নেতাও। দলীয় মনোনয়নের ভুয়া চিঠি দিয়ে বিভিন্ন উপজেলাতে বিকল্প প্রার্থী হিসেবে আনকোরা নেতাদের নাম জুড়ে দিচ্ছে। জানা গেছে, এসব অযাচিত ঘটনায় বিব্রত ও অপমানিত বোধ করছেন তৃণমূলের ত্যাগী এবং পুরনো নেতারা। স্থানীয় নির্বাচনে নিজেদের দল বিএনপি অংশ নেবে না- এমন সিদ্ধান্ত তৃণমূল মেনে নিলেও নতুন মুখের একটি বড় অংশ টাকার বিনিময়ে দলীয় সমর্থন পাচ্ছেন বলে মাঠ পর্যায়ে ইতোমধ্যেই আওয়াজ উঠেছে। বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, এসব অভিযোগ তদন্ত করে দায়ীদের শাস্তি দিতে নির্দেশ দিয়েছেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এ প্রসঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক এমপি লায়ন হারুন অর রশিদ বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়েও বিএনপির অনেক শীর্ষ নেতা বাণিজ্য শুরু করেছেন। ইতোমধ্যেই তারা অযোগ্য অনেক নেতাকে টাকার বিনিময়ে দলীয় সমর্থন এনে দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এভাবে দল চললে বাংলাদেশ থেকে বিএনপির অস্তিত্ব নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের বিষয়টি নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, চাঁদপুর-৪ আসনে আমার জনপ্রিয়তার মূল্যায়ন না করে দলীয় অন্তর্কোন্দল সৃষ্টিকারী এমএ হান্নানের কাছ থেকে টাকা খেয়ে দলের শীর্ষ নেতারা তার হাতে ধানের শীষ তুলে দিলেন। বিনিময়ে চাঁদপুর-৪ আসনে বিএনপির ভরাডুবি হলো। এবার উপজেলা নির্বাচনেও যদি মনোনয়ন বাণিজ্য করা হয়, তবে দলের অস্তিত্ব থাকবে না।

এদিকে মনোনয়ন বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বিএনপি নেতা নাজিমউদ্দিন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে আমার তুমুল জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও আমাকে ধানের শীষ দেয়া হয়নি। আর এখন শুনছি উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়নের কথা বলে দলের শীর্ষ নেতারা বাণিজ্য করছেন! অযোগ্য অজনপ্রিয় নেতাদের দল সমর্থন দেবে বলে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কথা শোনা যাচ্ছে। যা আমাদের মতো তৃণমূল নেতাদের জন্য খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।