• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৭ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নাগরপুরে বাসযোগ্য এলাকায় ইটের ভাটা, স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ৫ লাখ মানুষ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০১৮  

টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা এখন ইটভাটার নগরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাসকারী এ এলাকাতে গড়ে উঠেছে ২২ টি ইটের ভাটা। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গড়ে উঠা এসব ইটভাটা স্ব-মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। অবৈধভাবে গড়ে উঠা এসব ভাটার কালো বিষাক্ত ধোয়ায় স্বাস্থ্য ঝুকিতে উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ। বেড়ে চলেছে বিভিন্ন ধরনের চর্ম রোগ, শ্বাস কষ্ট ও ক্যান্সারের মত মহামারি ব্যাধি। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে গর্ভধারণ, বাধাগ্রস্থ হচ্ছে শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উঠা। মানুষের পাশাপাশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে গৃহপালিত পশু-পাখি।

এছাড়া অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠা ভাটার বিষাক্ত কালো ধোঁয়ায় নষ্ট হচ্ছে বিভিন্ন মৌসুমী ফল। অথচ উপজেলার শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল

। এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস ধান, গম, পাট ও অন্যান্য রবি শস্য। এছাড়া অনেকেই বরই ,আম ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। ইটের ভাটার প্রধান কাঁচা মাল হিসেবে ব্যবহৃত হয় মাটি। ফসলি জমির উপরিভাগের মাটি কেঁটে ইটের ভাটায় বিক্রি করছে এক শ্রেণীর অসাধু মাটি ব্যবসায়ী ।

ভাটার কাঁচামালের যোগান দিতে ফসলি জমির টপ সয়েল বা উর্বর মাটি কেটে ফেলায় চাষাবাদের জমি অনুর্বর হয়ে পড়ছে। আর এ মাটি পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে ট্রলি বা ট্রাক্টর। অনুমোদনহীন এ সব ট্রাক্টরের কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে স্বাভাবিক যান চলাচল। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনা। তাছাড়া এ সকল ভাটায় কয়লা পোড়ানোর নিয়ম থাকলেও তারা আইনের তোয়াক্কা না করে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে কাঠ। ফলে উজার হচ্ছে বনভূমি।

এ ব্যাপারে এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেলেও থামেনি নতুন ইটভাটা নির্মাণ কাজ । প্রতি বছরই ভাটা তৈরী করছে এলাকার একশ্রেণীর প্রভাবশালী ইটভাটা ব্যবসায়ী। যে যত প্রভাবশালী তার ইটের ভাটার পরিমাণ তত বেশী । নাগরপুরবাসী নীরব মৃত্যু নিয়ে এ খেলার অবসান চায়।

এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা পঃপঃ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ইটভাটার কালো ধোয়ার ফলে মানুষের এজমা, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট সহ ক্যানসারের মত রোগ হতে পারে।