• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আল্লাহর ঘরের মেহমানদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯  

হজ ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের একটি। যা আল্লাহর প্রতি অগাধ বিশ্বাস অকুণ্ঠ ভালোবাসা ও পূর্ণ আনুগত্যের প্রতীক।  মহান আল্লাহ তাআলার সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ হলো হজ। 

জিয়ারতে বাইতুল্লার মাধ্যমে খোদাপ্রেমিক মুমিন বান্দা তার মালিকের বাড়িতে বেড়াতে যায়, অনুভব করে দিদারে এলাহীর এক জান্নাতি আবেশ। কলুষমুক্ত হয় গুনাহের গন্ধে কলুষিত অন্তরাত্মা। হজের মাধ্যমে মুমিনের আত্মিক, দৈহিক ও আর্থিক ইবাদাতের সমাবেশ ঘটে। প্রত্যেক সামর্থ্যবান প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। 

মহান আল্লাহ তাআলা এ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে এরশাদ করেন, ‘নিঃসন্দেহে সর্বপ্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে নির্ধারিত হয়েছে, সেটাই হচ্ছে এ ঘর, যা মক্কায় অবস্থিত এবং সারা জাহানের মানুষের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়।’ (সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৯৬)

‘এতে রয়েছে মাকামে ইব্রাহীমের মত প্রকৃষ্ট নিদর্শন। আর যে লোক এর ভেতরে প্রবেশ করেছে, সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর এ ঘরের হজ করা হলো মানুষের উপর আল্লাহর প্রাপ্য; যে লোকের সামর্থ রয়েছে এ পর্যন্ত পৌছার। আর যে লোক তা মানে না। আল্লাহ সারা বিশ্বের কোনো কিছুরই পরোয়া করেন না।’(সুরা আলে ইমরান : আয়াত ৯৭)

মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল-কোরআনে এরশাদ করেন, ‘আর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা করুন। তারা আপনার কাছে আসবে দূর-দূরান্ত থেকে পদযোগে ও সর্বপ্রকার কৃশকায় উটের পিঠে আরোহণ করে।’ (সুরা হজ : আয়াত ২৭)

যারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্তে হজ আদায় করে, মহানবী (সা.) তাদের ব্যাপারে গুনাহ মাফ ও জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেছেন। 

এ ব্যাপারে প্রিয়নবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘তোমরা ফরজ হজ আদায়ে বিলম্ব করো না। কেননা তোমাদের জানা নেই, পরবর্তী জীবনে তোমরা কী অবস্থার সম্মুখীন হবে।’ (মুসনাদে আহমদ ২৮৬৭)। 

মহানবী (সা.) এরশাদ করেন, ‘সামর্থ্যবান হওয়া সত্ত্বেও যে হজ না করে মারা যায়, সে ইহুদি হয়ে মারা যাক বা খ্রিস্টান হয়ে মারা যাক, তাতে আমার কোনো পরোয়া নেই।’ (তিরমিজি : ৮১২)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে এমনভাবে হজ আদায় করল, কোনোরূপ অশ্লীল কথা বা গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়নি, সে সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরে আসবে।’ (বুখারি: ১৫২১)
 
প্রিয়নবী (সা.) আরো এরশাদ করেন, ‘হজ ও ওমরাকারীরা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার মেহমান, তারা যদি আল্লাহর নিকট দোয়া করে, তবে তিনি তা কবুল করেন। আর যদি তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাহলে তিনি তাদের ক্ষমা করে দেন।’ (ইবনে মাজা : ২৮৯২)। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, হজে মবরূর তথা মকবুল হজের প্রতিদান হলো জান্নাত।’ (বুখারি: ১৭৭৩)। 

হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘কোনো হাজী সাহেবের সঙ্গে তোমাদের সাক্ষাৎ হলে তাকে সালাম করবে, তার সঙ্গে মুসাফাহ্ করবে এবং তিনি নিজ গৃহে প্রবেশের আগে তার নিকট দোয়া কামনা করবে। কারণ তিনি নিষ্পাপ হয়ে ফিরে এসেছেন।’ (ইবনে মাজা : ৩০০৪)