• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অধিনায়ক মাশরাফীর আর এক কীর্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০১৯  

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত আইসিসি বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠবে আগামী ৩০ মে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২ জুনের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ মিশন। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বে আজ বিশ্বকাপের জন্য দল ঘোষণা করেছেন নির্বাচকরা। সবকিছু ঠিক থাকলে মাশরাফীর নেতৃত্বে ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ মিশনে নামবে। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার বাংলাদেশকে বিশ্বকাপে নেতৃত্ব দিচ্ছেন অধিনায়ক মাশরাফী। প্রথম কোন বাংলাদেশি অধিনায়ক হিসেবে এই কীর্তি যোগ হচ্ছে মাশরাফীর নামের পাশে।


প্রথম ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলেছিল মাশরাফীর নেতৃত্বে। সেবার দলকে বিশ্বমঞ্চে সর্বোচ্চ সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। দলকে তুলেছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। দুই বছর পর অবশ্য ‘মিনি বিশ্বকাপ’খ্যাত আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেটাও তারই হাত ধরে।

২০১১ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ।  ঘরের মাঠে বাংলাদেশের যেমন সাফল্য ছিল, ছিল ব্যর্থতা।  বিশ্বকাপ শুরুর আগেই অক্টোবরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলার সময় পায়ে চোট পান অধিনায়ক মাশরাফী। সাকিবকে দেয়া হয় অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। মাশরাফী ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ে সিরিজে ফিরেছিলেন ঠিকই। কিন্তু অধিনায়কত্ব পাননি।  বিশ্বকাপের ঠিক আগে মাশরাফী লিগের খেলা চলাকালীন আবার ইনজুরিতে পড়লে ছিটকে যান বিশ্বকাপ থেকে।

সকিব বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন বিশ্বকাপে। ৬ ম্যাচে মাত্র ৩ জয় বাংলাদেশের। হারিয়েছিল ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসকে। হেরেছিল ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার বিশেষভাবে স্মৃতিতে আটকে আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ অলআউট হয়েছিল ৭৮ রানে।

২০১৫ বিশ্বকাপে নাটকীয়ভাবেই মাশরাফী পেয়ে যান অধিনায়কত্বের দায়িত্ব। বিশ্বকাপের ঠিক আগে ১২ ওয়ানডেতে পরাজিত বাংলাদেশ। মুশফিকের থেকে দায়িত্ব নিয়ে বোর্ড মাশরাফীকে করে অধিনায়ক। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে মাশরাফীর দল জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করে ৫-০ ব্যবধানে। ঘরের মাঠে সাফল্য বাংলাদেশ ধরে রাখে বিশ্বকাপে।  ইংল্যান্ড, আফগানিস্তান ও স্কটল্যান্ডকে হারিয়ে এবং অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে বাংলাদেশ নাম লেখায় কোয়ার্টার ফাইনালে।  নকআউটে ভারতের বিপক্ষে পারেনি বাংলাদেশ।

চার বছর পর আবার বিশ্বকাপ। আবার বিশ্বমঞ্চ রাঙাবে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। মাশরাফীর কাঁধে টিম বাংলাদেশের দায়িত্ব। শেষ চার বছরে খেলার ধরন পাল্টেছে বাংলাদেশ।  চোখে-চোখ রেখে লড়াই করে বাংলাদেশ। বলে-কয়ে হারিয়ে দিতে পারে যে কাউকে। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন হাবিবুল বাশার, ৯টি।  ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে প্রথম পর্বে মাশরাফীর খেলবে ৯ ম্যাচ।  ৫ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়া মাশরাফী বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচে অধিনায়কত্ব করলে ছাড়িয়ে যাবেন বাশারকে। অধিনায়ক হিসেবে এরই মধ্যে গড়েছেন অনন্য কীর্তি।