• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

চট্টগ্রাম টেস্টে টাইগারদের প্রাপ্তি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ৬৪ রানের দারুণ এক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুই টেস্টের সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে। এ নিয়ে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার পর ক্রিকেটের আরেক কুলীন সদস্য ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বধ করলো টাইগাররা। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে জয়ে দলের পাশাপাশি ব্যক্তিগত কিছু প্রাপ্তি লেখা হয়েছে ক্রিকেটারদের নামে।

আট ম্যাচে চার জয়: ঘরের মাঠে সাকিবরা তাদের খেলা শেষ আট টেস্টের চারটিতে জয় পেয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্টে জয়। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়। মধ্যে শ্রীলংকা সিরিজে গেছে নীল। এরপর জিম্ববুয়ের বিপক্ষে এক জয়। আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে জয়। এই আট টেস্টের আগে ঘরের মাঠে খেলা ৫২ টেস্টের মোটে চারটি জয় আছে বাংলাদেশের।

উইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম হোম টেস্ট জয়: এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ২০০৯ সালে জয় পায় বাংলাদেশ। ক্যারিবিয় দ্বীপ থেকে ২-০ ব্যবধানে জিতে ফেরে সাকিবরা। তারপর বাংলাদেশ আরও আটবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে। হেরেছে সাতটিতে। বাকি টেস্টটি ড্র হয়। এবার ঘরের মাঠে উইন্ডিজকে পেয়ে বাংলদেশ পূরণ করলো সেই বৃত্ত।

সাকিবের তিন হাজার রান, ২০০ উইকেট: সবচেয়ে কম টেস্টে (৫৪) তিন হাজার রান ও ২০০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। তার আগে ৫৫ টেস্টে এই মালইফলকে পৌছান ইয়ান বোথাম। টেস্টে তিন হাজার রান ও ২০০ উইকেট পাওয়া ১৪তম ক্রিকেটার সাকিব। দেশের প্রথম টেস্টে ২০০ উইকেট পাওয়া ক্রিকেটার তিনি। আর বিশ্বের পঞ্চম বাঁ-হাতি স্পিনার।

১১ রানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ৪ উইকেট: এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দু’বার ৯ ও ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় ক্যারিবিয়রা। এবার বাংলাদেশের বিপক্ষে হারায় ১১ রানে ৪ উইকেট।

তাইজুলের ৩৩ রানে ৬ উইকেট: তাইজুলের ৩৩ রানে ৬ উইকেট দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার। এর আগে এনামুল হক জুনিয়রের ছিল ৪৫ রানে ৬ উইকেট। টেস্টে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগারও তাইজুলের। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯ রানে ৮ উইকেট নেন তিনি।

তাইজুলের চারবার পাঁচ উইকেট: চলতি বছর তাইজুল চারবার এক ইনিংসে পাঁচটি করে উইকেট নিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেসার জেসন হোল্ডার কেবল চলতি বছর চারবার পাঁচটি করে উইকেট নিতে পেরেছেন। তাইজুলের এই চারবার পাঁচ উইকেটই তার শেষ তিন টেস্টে নিয়েছেন। এছাড়া চলতি বছর চতুর্থ বোলার হিসেবে (ছয় টেস্টে) ৪০ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

স্পিনারদের ২০ উইকেট: দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশের স্পিনাররা দুই ইনিংসে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেটই তুলে নিয়েছে। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ২০ উইকেট নেয় বাংলাদেশের স্পিনাররা। এছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টে দুই দলের ৪০ উইকেটের ৩৪টিই পেয়েছে স্পিনাররা।

উইন্ডিজের একক সংখ্যার রান: বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম নয় ব্যাটসম্যানের সাতজন একক সংখ্যার রান করে আউট হয়েছেন। এরআগে ২০০৫ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টে এমনটা হয় তাদের।

শূন্য রানে কিয়েরন পাওয়েলের স্ট্যাম্পিং: টেস্টে শূন্য রানে স্ট্যাম্পিং হওয়া প্রথম ব্যাটসম্যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিয়েরন পাওয়েল। এর আগে আরও তিনজন ওপেনার শূন্য রানে স্ট্যাম্পিং হয়েছেন বলে শোনা যায়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগের ঘটনা সেটা। কিন্তু তার সঠিক তথ্য পাওয়া যায় না।