• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ফ্ল্যাট বিক্রি করে চিকিৎসা করাচ্ছেন মোশাররফ রুবেল!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০১৯  

বেশ কিছুদিন থেকে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে ভুগছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল । এবার চিকিৎসার জন্য নিজের ফ্ল্যাট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত  এ ক্রিকেটার।

সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে  রুবেলের মস্তিষ্কে সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয় গত ১৯ মার্চ । বায়োপসি রিপোর্টও এসেছিল পজিটিভ। রিপোর্ট থেকে জানা যায়, ৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের টিউমারের ক্যানসারের জীবাণু পাওয়া যায়নি।

অস্ত্রোপচার সফলভাবে সম্পন্ন হলেও টিউমারের জীবাণু পুরোপুরি অপসারণ করা সম্ভব হয়নি। বাধ্য হয়ে কেমো ও রেডিওথেরাপির আশ্রয় নেন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার। 

সিঙ্গাপুরে ইতোমধ্যে ২০টি রেডিওথেরাপি সফলভাবে নিয়েছেন রুবেল। এখনো ৬টি কেমোথেরাপি নিতে হবে তাকে। এজন্য দরকার আরও ৫০ লাখ টাকা। চিকিৎসার জন্য এই টাকা যোগাড় করতে ফ্ল্যাট বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রুবেল। 

 

 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন রুবেল নিজেই। এ সময় দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।

সোমবার বিকেলে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিনটি ছবি পোস্ট করেন রুবেল। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেন,‘এখন কেমোথেরাপির সঙ্গে যুদ্ধ করার সময়। এরই মধ্যে চিকিৎসা বাবদ আমি ১ কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছি। এখন আরও ৬টি কেমোথেরাপির জন্য ৫০ লাখ টাকা দরকার। এজন্য আমার ১৫৫০ স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটটি বিক্রি করা দরকার। যদি কেউ কিনতে আগ্রহী থাকেন তাহলে দয়া করে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন এবং অবশ্যই আপনাদের কাছে দোয়া চাইছি। আপনাদের দোয়ার কারণে আমি এখনো বেঁচে আছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুক। ধন্যবাদ।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ষষ্ঠ আসর চলাকালীনই শারীরিক সমস্যার কথা বুঝতে পারেন রুবেল। রাতে প্রায়ই তার খিঁচুনি উঠত। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে গিয়ে রুবেল জানতে পারেন তার ব্রেনে গ্লিওমা নামক টিউমার হয়েছে।

এ ধরনের টিউমার সাধারণত মস্তিষ্কের কোষ অথবা মেরুদণ্ড থেকে জন্ম নেয়। ব্রেনে টিউমার হয়েছে জেনে স্বাভাবিকভাবে খানিকটা থমকে পড়েন রুবেল। তবে ভেঙে না পড়ে চিকিৎসা নেয়ার প্রস্তুতি নেন তিনি। গেল ১৪ মার্চ অস্ত্রোপচার করাতে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছাড়েন তিনি। অস্ত্রোপচার শেষে গেল ৩০ মার্চ দেশে ফিরে আসেন।