• মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কোহলি ঝড়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে সমতা ভারতের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

প্রথম ম্যাচে হেরে গিয়েছিল ভারত। দ্বিতীয় ম্যাচ ভেসে যায় বৃষ্টিতে। ফলে শেষ ম্যাচটি ভারতের জন্য হয়ে দাঁড়ায় সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। হারলে সিরিজ পরাজয় নিশ্চিত। জিতলে সিরিজ জিততে পারবে না, অন্তত ড্র তো করতে পারবে। সিডনিতে অনুষ্ঠিত এই ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়াকে ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা আনলো ভারত।

ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ঝড়ো ব্যাটিংয়েই মূলতঃ জয় পেয়েছে ভারত। ৪১ বলে ৬১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২ বল জাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ভারত।

স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার করা ১৬৪ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। বিশেষ করে শিখর ধাওয়ান। তার ঝড়ো ইনিংসের সামনে দিশেহারা হয়ে পড়ছিল অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা। ২২ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। ৬টি বাউন্ডারির সঙ্গে ২টি ছক্কার মার মেরে আউট হন তিনি মিচেল স্টার্কের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে।

রোহিত শর্মা কিছুটা রয়ে সয়ে খেলছিলেন। ১৬ বলে ২৩ রান করেন তিনি। বোল্ড হন অ্যাডাম জাম্পার বলে। ওয়ানডাউনে মাঠে নামেন কোহলি। লোকেশ রাহুলকে ৪১ রানের ছোট একটি জুটি গড়েন তিনি। ১৪ রান করে আউট হয়ে যান রাহুল। রিশাভ পান্ত মাঠে নেমেই ১ম বলে পড়লেন আউটের কবলে। এরপর বাকি কাজটা দিনেশ কার্তিককে নিয়ে শেষ করে আসেন কোহলি। এ দু’জন অপরাজিত থাকেন ৬০ রানের জুটি গড়ে।

শেষ ওভারে ভারতের প্রয়োজন ছিল ৫ রান। বোলার অ্যান্ড্রু টাই। তার প্রথম দুই বলে কোহলি রান নিতে বিরত থাকলেও, পরের দুই বলে পরপর দুই বাউন্ডারি মেরে ভারতকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন কোহলি। মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পা, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল এবং অ্যান্ড্রু টাই নেন ১টি করে উইকেট।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার কোনো ব্যাটসম্যানই বলার মত বড় কোনো স্কোর করতে পারেনি। সবার ব্যাটেই এসেছে মাঝারি ধরনের স্কোর। যে কারণে শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৪ রান সংগ্রহ করে অসিরা। ২৯ বলে সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন ডি আরকি শর্ট। ২৩ বলে ২৮ রান করেন অধিনায়ক অ্যারোন ফিঞ্চ। ১৯ বলে ২৭ রান করেন আলেক্স ক্যারি। মার্কাস স্টোইনিজ ১৫ বলে ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

ভারতের স্পিনার ক্রুনাল পান্ডিয়ার ঘূর্ণিতেই মূলতঃ কাবু হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪ ওভারে ৩৬ রান দিলেও তিনি দখল করেন অস্ট্রেলিয়ার ৪টি উইকেট। ১ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব।