• বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩১

  • || ০৭ জ্বিলকদ ১৪৪৫

মাঠের ভেতরে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনার দায় কার?

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৮  

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের একজন পরিচালক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বিবিসি’কে বলেন দুই দফায় মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনাটিকে তারাও গুরুত্বের সাথে নিচ্ছেন।

মি. নাদেল বলেন, “মাঠের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের অসতর্ক মুহূর্তের সুযোগ নিয়ে দু’জন অবৈধভাবে সীমানা পেরিয়ে এসেছে।”

মি. নাদেল জানান দুই ক্ষেত্রেই গ্যালারির সামনে থাকা ৭ ফুট উচ্চতার লোহার বেড়া টপকে মাঠে প্রবেশ করে দর্শকরা।

এই বিষয়ে এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি ভেন্যু কর্তৃপক্ষকে মেইল করেছে বলে জানান মি. নাদেল।

“এ বিষয়ে আইসিসি’র নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সাথে ক্রিকেট বোর্ডের নিরাপত্তা কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে।”

আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ এবং তারপর অনুষ্ঠিতব্য বিপিএল টুর্নামেন্টে যেন এধরণের কোনো ঘটনা না ঘটে সে লক্ষ্যে তারা কাজ করছে বলে নিশ্চিত করেন মি. নাদেল।

কিন্তু স্টেডিয়ামে দর্শকদের ঢুকে পড়ার দায় কি শুধুই ক্রিকেট বোর্ডের?

বিবিসি’র ফেসবুক পেইজে খেলা চলাকালীন সময়ে মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনার বিভিন্ন রকমের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

বিবিসি’র ফেসবুক পেইজে মো. সাইদ হাসান মন্তব্য করেন, “শুধু নিরাপত্তার দোহাই দিলে চলবে না, দর্শন সচেতনতার অভাব রয়েছে, আবেগ প্রবণ হয়ে এমন কিছু করা যাবে না যা করলে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।”

মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন নামের আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “নিজেকে টিভির পর্দায় আবিষ্কার করা, আর সারাদেশের মানুষ এর কাছে পরিচিত হবার নতুন কৌশল এটি।”

কয়েকজনের মতে এই দায় দর্শদের ওপরও বর্তায়। দর্শকদের অসচেতনতা ও অতিরিক্ত আবেগের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের সুনাম।

অধিকাংশই অবশ্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ব্যবস্থাপনার ত্রুটিকে এধরণের ঘটনার পেছনে কারণ হিসেবে মনে করেন।

এসব ঘটনায় অভিযুক্তদের বড় ধরণের শাস্তি না হওয়াকেও কারণ মনে করছেন অনেকে।

মুহাম্মদ আলম লিখেছেন, “ম্যাচ চলাকালীন মূল মাঠে দর্শক ঢুকে পড়ার ঘটনা দু’বার ঘটলো। অবশ্যই নিরাপত্তার ঘাটতি রয়েছে। বড় ধরনের শাস্তি না হওয়ায় এরকম ঘটনা বারবার হচ্ছে।”

অভিযোগের তীর খেলোয়াড়দের দিকেও

বারবার এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দায় খেলোয়াড়রাও এড়াতে পারেন না বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ।

আসাদুজ্জামান আসাদ লিখেছেন, “আমি মনে করি খেলোয়ারদের এত আবেগ দেখানোটাও একটা কারণ। খেলোয়াড়দের উচিত সিকিউরিটির ব্যাপারে আরো বেশি কঠোর হওয়া।”

তবে ক্রমাগত এধরণের ঘটনা ঘটতে থাকলে সম্ভাব্য সবচেয়ে দু:খজনক পরিণতি কী হতে পারে, সেটি উঠে এসেছে মিফতাহুল জান্নাতের মন্তব্যে।

মিজ. জান্নাত লিখেছেন, “এটা মুশির প্রতি ভক্তের অব্যক্ত ভালোবাসা। তবে হ্যাঁ, নিরাপত্তা আরো জোরালো হওয়া উচিত…পরে নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেউ এদেশে খেলতে আসবেনা.. নয়তো পাকিস্তানের মত অবস্থা হবে। মাঠ ভাড়া করে খেলতে হবে।”