• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে পার পাচ্ছে না প্রশ্নপত্র ফাঁস

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯  

নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে ২০১৯ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষা শুরু হয়েছে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত অপতৎপরতাকে রুখে দিতে সোচ্চার হয়েছে সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী । আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারিতে কিছুতেই পার পাচ্ছে না প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সদস্যরা। এতে যেমন একদিকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় আসছে সুবাতাস তেমনি এর মাধ্যমে একটি সুস্থ শিক্ষাব্যবস্থার পথ ক্রমেই বিস্তৃত হচ্ছে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এসএসসি পরীক্ষা শুরুর আগে থেকেই সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমসহ বোর্ড পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাহিনীর নজরদারির ফলে ভুয়া প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত তৎপরতায় সাতক্ষীরা, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, যশোর, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা প্রত্যেকেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে বিভিন্নভাবে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল।

এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরেই সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস সংক্রান্ত গুজব রোধে তৎপর রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও বরাবরই তৎপর ছিল। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুঞ্জন যেভাবে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছিল সেখান থেকে উত্তরণের জন্য একটু সময় লেগেছে। প্রথম দিকে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও এ সংক্রান্ত গুঞ্জন রোধ করা যাবে না বলে বিভিন্ন মহলে নানা সমালোচনা উঠলেও এবার এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করতে পেরেছি কুচক্রী মহলকে আমরা প্রতিহত করতে সক্ষম। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনাই ঘটেনি।

আসন্ন প্রতিটি পরীক্ষাতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এমন তৎপরতা অব্যাহত থাকবে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁস একটি সামাজিক ব্যাধিতে রূপান্তরিত হয়েছিলো। যা এখন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। এর পেছনে যেমন সরকার, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের অবদান রয়েছে তেমনি সফলতার পেছনেও সমাজের সকল স্তরের মানুষেরও ভূমিকা কম নয়। তাই আগামীতেও এই ধারা অব্যাহত রেখে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন আমাদের সকলের দায়িত্ব।