‘একবার ডেঙ্গু হলে আর হয় না’ ধারণাটি কতটা সঠিক?
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯
এখন ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব অনেক বেশি। আর এই জ্বর নিয়ে মানুষের ধারণারও কমতি নেই। তবে কোন ধারণাটি সঠিক আর কোনটি ভুল এ বিষয়ে অনেকেই জানেন না। আর ভুলবশতই আবারো পড়তে হয় বিপদে। ডেঙ্গুজ্বর সাধারণত ৫-৬ দিন থেকে সম্পূর্ণ ভালো হয়ে যায়। আর এসময়ই প্লাটিলেট কমে যায় এবং রক্তক্ষরণসহ নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। জ্বর কমে যাওয়ার পরবর্তী সময়টাকে বলা হয় ‘ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড’। কিন্তু অনেকে এখানেই ভুল করে বসেন। জ্বর কমে গেলে অনেক রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করেন রোগ সম্পূর্ণ ভালো হয়ে গেছে। কিন্তু ডেঙ্গুজ্বরে মারাত্মক সমস্যা হওয়ার সময় আসলে এটাই। এ সময় সচেতন থাকা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যন্ত জরুরি। চলুন জেনে নেয়া যাক এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য-
কি পরীক্ষা করা উচিত
এসময় বেশি টেস্ট না করে সিবিসি এবং প্লাটিলেট কাউন্ট করলেই যথেষ্ট। তবে জ্বরের একদম শুরুতে রক্ত পরীক্ষা করালে রিপোর্ট স্বাভাবিক থাকবে এবং তা রোগ নির্ণয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করতে পারে। রোগী এমনকি ডাক্তারও মনে করতে পারেন, রিপোর্ট ভালো আছে, তাই আর কোনো পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, যা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। প্লাটিলেট কাউন্ট ৪ বা ৫ দিন পর কমতে শুরু করে, তাই জ্বর শুরুর ৪ থেকে ৫ দিন পর রক্ত পরীক্ষা করা উচিত। আবার অনেকেই দিনে দুই তিনবার, এমনকি একই সঙ্গে একাধিক ল্যাবরেটরি থেকে প্লাটিলেট কাউন্ট করে থাকেন, যা অপ্রয়োজনীয়। ১ থেকে ২ দিনের জ্বরে ডেঙ্গু এনএস-১ এন্টিজেন এবং ৪ থেকে ৬ দিন পর এন্টি ডেঙ্গু অ্যান্টিবডি করা যেতে পারে। এই পরীক্ষাগুলো রোগ শনাক্তকরণে সাহায্য করলেও চিকিৎসায় ভূমিকা নেই।
অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া যাবে কি
ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগ। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। তবে ডেঙ্গুর সঙ্গে অন্য ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগও থাকতে পারে। তখন অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয়। অনেকে মনে করেন ডেঙ্গুতে অ্যান্টিবায়োটিক ক্ষতি করে এবং তা পরিহার করতে হবে, যা ভুল ধারণা। প্রয়োজনে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে কোনো ক্ষতি হবে না।
গর্ভাবস্থায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে কি করণীয়
এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হবে। কারণ, মা ও বাচ্চা উভয়ের জন্যই এসময়টা ঝুঁঁকিপূর্ণ। ডেঙ্গুজ্বরের মশাটি আমাদের দেশে আগেও ছিল, এখনো আছে, মশা প্রজননের এবং বংশবৃদ্ধির পরিবেশও আছে। তাই অবহেলা না করে আরো সচেতনতা ও প্রতিরোধের মাধ্যমেই এর হাত থেকে মুক্তি সম্ভব।
রক্ত পরিসঞ্চালনের প্রয়োজনীয়তা আছে কি
ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভার হলেই রোগী এবং চিকিৎসক উভয়েই রক্ত পরিসঞ্চালনের জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন। অথচ যদি রক্তক্ষরণ না হয় এবং রোগীর রক্তের হিমোগ্লোবিন স্বাভাবিক থাকে, তবে রক্ত পরিসঞ্চালন করার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্লাটিলেট কি দিতেই হবে
ডেঙ্গু জ্বরের ৪ বা ৫ দিন পরে প্লাটিলেট কমতে থাকে, ২ থেকে ৩ দিন পর তা বাড়তে শুরু করে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্লাটিলেট পরিসঞ্চালনের প্রয়োজন হয় না। অনেক সময় প্লাটিলেট কমে গেলেই রোগী এবং চিকিৎসক প্লাটিলেট পরিসঞ্চালনের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপ্রয়োজনীয়। আবার, তাড়াহুড়ো করে প্লাটিলেট এমনকি রক্ত পরিসঞ্চালন করলে হেপাটাইটিস বিসি এইচআইভি ইত্যাদি সংক্রমণের ঝুঁঁকি থাকে।
একবার ডেঙ্গু হলে আর কি হয় না
এই ধারণাটি সম্পূর্ণ ভুল। কারণ ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি ভিন্ন প্রজাতি বা সেরোটাইপ আছে, তাই চারবার ডেঙ্গু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডেঙ্গু ভাইরাসের যেকোনো একটি প্রজাতি দ্বারা একবার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে ওঠার পর ভবিষ্যতে সেই প্রজাতিটি দ্বারা আর আক্রান্ত হয় না। কারণ শুধু সেই প্রজাতিটিতে রোগীর আজীবন প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে। কিন্তু বাকি তিনটি প্রজাতি দ্বারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁঁকি ঠিকই রয়ে যায়। তবে কেউ যদি পৃথকভাবে ডেঙ্গু ভাইরাসের ৪টি প্রজাতি দ্বারা জীবনে চারবার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে বাকি জীবনে আর ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার কথা নয়।
ডেঙ্গু কি ছোঁয়াচে রোগ
ডেঙ্গু কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। কাজেই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগীকে স্পর্শ করলে, একই বিছানায় ঘুমালে, একই তোয়ালে, একই গ্লাস কিংবা প্লেট ব্যবহার করলে অন্যরা এই রোগে আক্রান্ত হয় না। ডেঙ্গুজ্বরে রোগীর সঙ্গে সামাজিক মেলামেশায় বাধা নেই। তাই অবহেলা না করে ডেঙ্গু নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে।
- ট্রফি হাতে লিগ শিরোপা উদযাপন বসুন্ধরা কিংসের
- সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়: নজর রাখছে আবহাওয়া অধিদপ্তর
- সেই ট্রাফিক পুলিশ প্রত্যাহার
- নাগরিকদের কেউ যেন বৈষম্যের শিকার না হন
- কারওয়ান বাজারের আ*গুন নিয়ন্ত্রণে
- সাভারে কু*পিয়ে টাকা ছিনতাই
- রিকশাচালকের পা ভাঙল পুলিশ
- ট্যানারি সাভারে নেয়ায় জটিলতা বেড়েছে
- টানা বৃষ্টির আভাস
- ছেলেকে আপনাদের হাতে সঁপে দিলাম
- বিলবোর্ড দুর্ঘটনায় নিহত কার্তিক আরিয়ানের ২ স্বজন
- কুকি-চিনের আকিম বম গ্রেফতার
- হেরোইনসহ আটক ২
- প্রবীণ সাংবাদিকের পাশে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান
- কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫
- ইসরাইলের সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হিজবুল্লাহর
- হিমাগারে মিলল ২১ লাখ ডিম
- মালদহে বজ্রপাতে ১১ জনের মৃত্যু
- শিকলে বেঁধে নির্যাতন, আসামি গ্রেপ্তার
- ইন্স্যুরেন্সের গ্রাহকদের টাকা না দেয়ায় মানববন্ধন
- এক স্কুলের সবাই ফেল!
- মানিকগঞ্মিজ: মিষ্টি কুমড়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়
- বিমানবন্দরের সামনে প্রাইভেট কারে আগুন
- নতুন স্টেডিয়ামের প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ
- নিষিদ্ধ পলিথিনে মোড়ানো পোস্টার
- শিক্ষিকার অপসারণ চেয়ে ক্লাস বর্জন
- কানের রেড কার্পেটে ভাবনা ‘কাক পোশাকে’
- কেরানীগঞ্জে ১১ প্রতিষ্ঠানকে ৪৮ লাখ টাকা জরিমানা
- স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রী গুলিবিদ্ধ
- ইমারত আইন না মেনেই নির্মিত হচ্ছে ভবন
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- তীব্র গরমে স্কুলের সাত শিক্ষার্থী অসুস্থ
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- সাভারে ফের উপজেলা চেয়ারম্যান রাজীব
- আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে বৃষ্টি না হলে
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাচন স্থগিত
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- হেলে পড়ার ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- অস্ত্রসহ মাদক কারবারি চক্রের হোতা গ্রেপ্তার
- জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজ্যুলেশন গৃহীত
- ডিএমপির মাদকবিরোধী অভিযান
- কাজ না করেই সমাপ্তির সাইনবোর্ড
- ১৩ কিমি ধাওয়া করে মোটরসাইকেল উদ্ধার
- সাভার ও গাজীপুরে দুটি ওয়াইজ-২০২৪ অনুষ্ঠিত
- হজযাত্রীদের সেবায় আশকোনায় কাজ করবে ঢাকা উত্তর সিটি
- সেনাপ্রধান: সেনাবাহিনী দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে
- লবণবাহী ১৬ ট্রলার ডুবে নিখোঁজ ৭২