• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

করোনার নতুন উপসর্গ স্ট্রোক!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২০  

বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে এক মহামারি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন প্রায় সাড়ে চার লাখ মানুষ। দিন দিন প্রায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। 

করোনার উপসর্গের মধ্যে রয়েছে জ্বর, ঠাণ্ডা, কাশি, গলা ব্যথা। এগুলো সাধারণ ফ্লুয়ের মতোই। তবে দিন দিন নতুন নতুন উপসর্গ পাচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

আইসিএমআরের সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, করোনা আঘাত হানতে পারে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রেও। যার ফলে, স্বাদ-গন্ধ ভুলতে পারেন মানুষ। তবে আমেরিকার নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অন্য কথা। স্নায়ুতন্ত্রেই শুধু করোনার প্রভাব পড়ে না বরং খিঁচুনি, স্ট্রোকের মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে করোনার সংক্রমণের জেরে। 

মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের এই দাবির প্রমাণ পাচ্ছেন ভারতের কোভিড চিকিৎসকেরাও। স্ট্রোকে আক্রান্তের চিকিৎসা করতে গিয়ে মিলেছে করোনা সংক্রমণের হদিস। শহরের বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, দুটো রোগ একসঙ্গে দেখা দেয় না। তবে করোনাভাইরাসের জন্য স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে। তখন স্ট্রোকটাই হয়ে উঠছে করোনার উপসর্গ। 

ডিসান কোভিড হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের বিশেষজ্ঞ পারমিতা ত্রিবেদী জানান, রক্তনালিতে থ্রম্বাস বা জমাট বাঁধা রক্ত তৈরি করছে করোনাভাইরাস। মস্তিষ্কে যখন রক্ত জমাট বাঁধছে তখনই স্ট্রোক হচ্ছে। পরে পরীক্ষা করলে করোনাভাইরাসও ধরা পড়ছে।

আন্তর্জাতিক একাধিক পাবলিকেশন এরই মধ্যেই প্রমাণ করেছেন করোনার জন্য দেখা দিচ্ছে স্নায়ুরোগ। চিকিৎসকেরা বলছেন, এ ধরনের রোগীর বিপদ রয়েছে অন্যত্রও। রোগীর মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বেঁধে থাকলে করোনা আবহে দ্রুত অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হচ্ছে না। 

পারমিতা বলছেন, করোনার সংক্রমণ শরীরে থাকায় অস্ত্রোপচার করেও খুব বেশি লাভ হবে না। কারণ করোনার জন্য হেমারেজিক স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগী। এতে রোগীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছে। 

ভারতের আমরি হাসপাতালের ইন্টারনাল মেডিসিন এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ সুস্মিতা সিনহা বলছেন, অপরিচিত উপসর্গগুলোর দিকেও নজর দিতে হবে। রোগীর সাধারণ স্ট্রোকও হতে পারে আবার করোনা সংক্রমণের জেরেও স্ট্রোক হতে পারে। দুই ক্ষেত্রেই দ্রুত উপসর্গ দেখে চিকিৎসা শুরু করলে রোগী ভবিষ্যতে সুস্থ জীবন পেতে পারেন।