• বুধবার ১৫ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩১

  • || ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৫

জমজমের পানি পানের বিশেষ মুহূর্তের কথা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ জুলাই ২০১৯  

জমজমের পানি হলো মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহ থেকে সৃষ্ট এক অলৌকিক কুয়া। যা তিনি শিশু ইসমাইল (আ.) এর পদতলে পদাঘাতের ফলে দান করেছেন। দুনিয়ার বুকে জমজমের পানি অনেক বরকতময়। যে পানি পান করে দুনিয়ার অসংখ্য মানুষ লাভ করে শান্তি, শারীরিক সক্ষমতা ও বরকত।

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ভূপৃষ্ঠের মধ্যে সেরা পানি হলো- জমজমের পানি। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিকর খাদ্য (উপাদান) এবং রোগ হতে আরোগ্য (লাভের উপাদান)।’ (তাবারানি)

অন্য হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘নিশ্চয় এটি বরকতময় (পানি)।’ মুসনাদে আহমাদ, মুসলিম)  
 
হজ ও ওমরায় গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও বরকতময় একটি কাজ হলো জমজমের পানি পান। এ পানি পানের বিশেষ একটি মুহূর্তের কথা বলেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.)।

হজ ও ওমরা পালনকারীরা যখন পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ সম্পন্ন করবেন তখন তারা মাকামে ইবরাহিমে দুই রাকাআত নামাজ পড়বেন। তার পরই পান করবেন জমজমের এ বরকতময় পানি। 

এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তাওয়াফ শেষে দুই রাকাআত নামাজ আদায় করে মাতআফ (তাওয়াফের স্থান) থেকে বেরিয়ে পাশেই জমজম কুপ এলাকায় প্রবেশ করবে এবং সেখানে বিসমিল্লাহ বলে দাঁড়িয়ে জমজমের পানি পান করবে। আর (হাতের কোষে নিয়ে) কিছু পানি মাথায় দেবে।’ (বুখারি-মুসলিম, মিশকাত ও মুসনাদে আহমদ)

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘এই পানি কোনো রোগ থেকে আরোগ্য লাভের উদ্দেশ্যে পান করলে তোমাকে আল্লাহ আরোগ দান করবেন।’ (দারাকুতনি, মুসতাদরেকে হাকেম, তারগিব)

‘মূলতঃ জমজম হলো আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহে সৃষ্ট এক অলৌকিক কুপ। যা শিশু ইসমাইল ও তার মা হাজেরা জীবন রক্ষায় এবং পরবর্তীতে মক্কার আবাদ ও রাসূলুল্লাহ (সা.) আগমনের স্থান হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই সৃষ্টি হয়েছে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব মক্কা ও মদিনা জিয়ারতকারীকে জমজমের পানি পানের মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত বরকত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।